৭ খুন: ৩০ জনের আদালতে হাজিরা

প্রকাশঃ জানুয়ারি ২২, ২০১৫ সময়ঃ ১:০২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:১৪ অপরাহ্ণ

জেলা প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

7 murderনারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মোট ৩০ জনকে বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এদিন মামলার জন্য তারিখ ধার্য্য  ছিল।

শুনানি শেষে বিচারক ২০১৫ সালের ১১ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কেএম মহিউদ্দিনের আদালতে চাঞ্চল্যকর সেভেন মার্ডারের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলাতেই গ্রেপ্তারকৃত ৩০ জনকে হাজির করা হয়। এসময় আদালতপাড়ায় নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা।

শুনানিকালে মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে শুনানিতে অংশ নেয় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী পিপি ফজলুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস জুয়েল, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন।

অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন জানান, আদালতের কাছে সাতহত্যা মামলার মূল আসামি নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারি প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। সেই সাথে মামলার অভিযোগ পত্র দায়েরের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়ে তদন্তকর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ পত্র দায়ের করার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি আদালতকে অবহিত করতে নির্দেশনা দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

এদিকে গতবারের মতো এবার সাত হত্যা মামলার আসামি র‌্যাবের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা তারেক সাঈদ ও আরিফকে হ্যান্ডকাফ ছাড়াই আদালতে হাজির করা হয়েছে। শুনানি শেষে কারাগারে নেয়ার সময়ে আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ করে ফাঁসি দাবি করেন। এ সময় তারা আসামিদের চোর, খুনী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সেই সাথে আসামিদের হ্যান্ডকাফ না পরানোয় খুনীদের সাথে পুলিশ বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন বলেও অভিযোগ তুলেন বিক্ষোভকারীরা।

হাজিরকৃত আসামিরা হলো, র‌্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক উপ অধিনায়ক আরিফ হোসেন, সাবেক ক্যাম্প কমান্ডার এম এম রানা, এসআই পুর্ণেন্দু বালা, হাবিলদার মো: ইমদাদুল হক, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্সনায়েক বিল্লাল হোসেন, ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন, সিপাহী আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো: সিহাব উদ্দিন, রেডিও অপারেটর গেইন (আরওজি) মো. আরিফ হোসেন, নূর হোসেনের প্রধান বডিগার্ড মর্তুজা জামান চার্চিল, প্রধান ক্যাশিয়ার আলী মোহাম্মদ, বডিগার্ড মহিবুল্লাহ, তানভীর, ইয়াসিন, আলমগীর, সোনা মিয়া, জুয়েল আহম্মেদ, মিজান, আবদুর রহিম, আরিফুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, নুরুজ্জামানসহ অন্যান্যরা।

উল্লেখ্য, ৭ খুনের মামলায় এ পর্যন্ত র‌্যাবের ১১ জন সদস্যসহ মোট ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে তিন র‌্যাব কর্মকর্তাসহ ১৩ জন আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এছাড়াও ঘটনার সাক্ষী হিসেবে ইতিমধ্যে ১৬ জন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ২৭ এপ্রিল নাসিকের প্যানেল মেয়র নজরুল, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী কাউন্সিলর সেলিনা ইসলাম বিউটি ও নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা ডা. বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন।

প্রতিক্ষণ /এডি/কল্পনা

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G